1. info@www.somoyer-poth.com : সময়ের পথ :
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১২ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সময়ের পথ" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :
লামায় আগুনে পুড়ে এই পরিবার এখন খোলা আকাশ নিচে কৃষি ডিপ্লোমার সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে ঐক্যমত পোষণ করছে অস্ত্রের মুখে লামায় ৯ শ্রমিক অপহরণ নড়াগাতি থানার পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত। বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইল’র নৃশংসতা গণহত্যা :দেশবিশ্বে তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরায়েল ‘র নৃশংসতা গণহত্যা :দেশবিশ্বে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ (বিআরইএল এর প্রতিবাদ ও মানববন্ধন দেহ ব্যবসায়ীদের আস্তানা গুড়িয়ে ও পুড়িয়ে দিলেন এলাকাবাসী লামায় এপেক্স ক্লাবের উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী ও চেক বিতরণ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব মুসলিমের জন্য ‘বিরল’ ফতোয়া জারি সর্বশেষ পরিস্থিতি: সাতক্ষীরার আশাশুনিতে রিং বাঁধ নির্মাণ ও ত্রাণ বিতরণে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম

ইলিশকে তো আর খৈল-ভুসি কিনে খাওয়ানো হয় না, দাম এত কেন?’

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক :-

চাঁদপুর ভরা মৌসুমেও দেখা মিলছে না ইলিশের। সরবরাহ কম থাকায় কর্মমুখর মাছঘাট দিন দিন নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। গত ৫/৬ বছর আগেও ইলিশ খ্যাত জেলা চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশ সরবরাহ বেশি থাকায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের বেচা-কেনা নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাতে হতো। কিন্তু বর্তমান চিত্র একেবারেই ভিন্ন। ইলিশ ভোজনরসিকরাও দাম নিয়ে অনেকটা বিরক্ত। মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও বাস্তবতায় দর-দামে তার কোনো ধরণের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতা সাধারণও ইলিশের দরদামের হিসাব মিলাতে পারছেন না। নুর মোহাম্মদ নামের পঞ্চাশোর্ধ এই শ্রমিক জেলার বৃহৎ চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে জীবনের দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করছেন। ট্রলার থেকে মাছ নামানো এবং তা বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য ককশিটে প্যাকেটজাত করা নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাতে হতো। কিন্তু আগের সেই ব্যস্ততার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। নুর মোহাম্মদ জানান, আগে ঘাটে প্রচুর ট্রলারে করে ইলিশ আসতো। এখন আর সেই ইলিশের দেখা মিলছে না। তিনি আরও বলেন, আগে ঘাটে প্রতিদিন একজন শ্রমিক ৫/৬শ’ টাকা আয়ের পাশাপাশি ২/৩টা করে ইলিশ পেত। কিন্তু ইলিশ সরবরাহ কম থাকায় শ্রমিকের জন্য বরাদ্দকৃত ইলিশের আর দেখা মিলছে না। যেই মজুরিও পাওয়া যাচ্ছে না, তা দিয়ে পরিবার-পরিজন চালাতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। নুর ইসলাম বকাউল নামের অপর শ্রমিক জানান, ঘাটে শ্রমিকের সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। ১০/১২ বছর আগে জেলার এই বৃহৎ মৎস্য আড়তে প্রায় তিনশ’র মতো শ্রমিক কর্মরত ছিলো। বর্তমানে তা অর্ধেকে এসে ঠেকেছে। এভাবে চলতে থাকলে এই পেশা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ দেখতে পারছি না।জেলে সোলেমান ও আলমগীর জানান, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম যাচ্ছে। নদীতে কিছুটা ইলিশ কম পাওয়া গেলেও আড়তে দাম বেশি। আমাদের কাছ থেকে ইলিশ কিনে সেটি নিলামে দাম তুলে আরও বেশি দামে বিক্রি হয়। এরপর কয়েক হাত রদবদল হয়। যর কারণে দাম বৃদ্ধি।চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার মানিক আক্ষেপ করে বলেন, ঘাট ঘেঁষা যেই পন্টুনটি রয়েছে, সেদিকে তাকালেই বুঝা ইলিশের বর্তমান চিত্র। এখানে প্রচুর ট্রলার ইলিশ নিয়ে ভিড়তো। আমরা অবসর থাকাটা ছিল কষ্টসাধ্য! কিন্তু এখন সরবরাহ কম থাকায় ঘাটে ট্রলার ভিড়ছে কম। তথ্য মতে, চাঁদপুরে বর্তমানে ১ কেজি বা তার চেয়ে বেশি পরিমাপের ইলিশ ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেড় কেজি পরিমাপের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ থেকে ২১০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া ৮শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি দরে।মৎস্য ব্যবসায়ী মানিক জানান, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হলেও বাস্তবে দরদামে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। কারণ ভারতে বিশেষ করে পূজাপার্বণে বিগত দিনে কিছু ইলিশ পাঠানো হতো। কিন্তু এখন নিজ দেশেই তো ইলিশের দেখা মিলছে কম।ইলিশ ব্যবসায়ী নবীর হোসেন জানান, মাছঘাটে কয়েকদিন ধরে প্রচুর ক্রেতা আসছে। আগের তুলনায় ইলিশ সরবরাহ বেড়েছে, কিন্তু দাম কমেনি। দাম নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রায়ই বাকবিতন্ডা হয়। মাছের তুলনায় ক্রেতা বেশি, যার কারণে দামও বেশি। কুমিল্লা থেকে ইলিশ কিনতে আসা আবুল কালাম জানান, ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুর মাছ ঘাটে এসেছি কম দামে ইলিশ কিনতে। কিন্তু এখানে এসে দেখি ভিন্ন চিত্র। ইলিশের দাম অনেক বেশি। এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৭০০ টাকা চায়। কি কারণে ইলিশের দাম এত বেশি বুঝতে পারছি না। ইলিশ মাছকে তো আরও বাজার থেকে কিনে খৈল-ভুসি খাওয়াতে হয় না। দাম এত কেন? চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক ও ক্রেতা আসে ইলিশ কিনতে। সরবরাহ কম, আবার চাহিদা বেশি থাকে তাহলে দাম এমনেই বেড়ে যায়। আশা করছি সামনে সরবরাহ বাড়লে দামও কমবে। মেসার্স মিজানুর রহমান ভুঁইয়া আড়তের ম্যানেজার ওমর ফারুক জানান, গত বছর এ সময় দেড় থেকে দুই হাজার মণ ইলিশ আমদানি হয়েছে। এবার আমদানি কমেছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান জানান, ইলিশ পরিভ্রমণশীল। একসময় নদীতে বিচরণ থাকে তাদের আবার সাগরে চলে যায়। বিশেষ করে ডিম ছাড়ার সময় মিঠা পানিতে ইলিশ বিচরণ বেড়ে যায়। মৎস্য বিভাগ সব সময়ই জাটকা রক্ষা ও ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তথ্য মতে, গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে জেলার মাছের চাহিদা ছিল ৬৮ হাজার ৪৬৬ মেট্টিক টন। উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০.৬২ মেট্টিক টন এবং উদ্বৃত্ত ছিল ৪৭ হাজার ৬২৪.৬২ মেট্টিক টন। একই অর্থবছরে শুধুমাত্র ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ হাজার ৩২৬ মেট্টিক টন। চাঁদপুর জেলায় নিবন্ধিত মৎস্যজীবীর (জেলে) সংখ্যা হচ্ছে ৪৭ হাজার ২৪৯ জন।চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম জানান, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় বছর জুড়েই জেলেরা ইলিশ পান। এখন ভরা মৌসুম হলেও সামনে ইলিশের আরও বেশি ধরা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট