নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলা বরইতলী বিটের আওতাধীন মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম খলিল পরিবারের সামাজিক বনায়ন ও খতিয়ানভুক্ত জমি জোরপূর্বক জায়গা দখলের নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু চক্র। এ’সামাজিক বনায়ন ২০০৯-২০১০ সনের দীর্ঘবছর শান্তিপূর্ণ’ভাবে পরিবারপরিজন’কে নিয়ে ভোগদখলে আছেন। এ’সামাজিক বনায়নের জমি থেকে গাছ কেটে নিয়ে যায়। গত-রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী পরিবার চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন ১। মোঃ ওসমান (২৪) পিতা: নুরুল ইসলাম ২। নুরুল ইসলাম (৫২) পিতা: সৈয়দ নুর, বরইতলী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড সাং: মাইজপাডা বাসিন্দা। ৩। নুরুল আমিন (২৫) পিতা: আব্দুল আজিজ,বরইতলী ৪নং ওয়ার্ড সাং উপর পাড়া। সরেজমিনে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নামজারী বিএস ১৯৫৩ নং খতিয়ানের বিএস ১৫০৫৬-১৫০৫৭ দাগাদীর আন্দর ১০৪ কড়া ৩৪.৬৭ শতক জমিতে ও খতিয়ান সংলগ্ন বিএস ১৪৬৩৯ দাগের বন বিভাগের সামাজিক বনায়নে ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় এঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী। গত ০১/০৭/২০১০ সালে সামাজিক বনায়ন চুক্তি অনুযায়ী বনায়নে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করা হয়। এই গাছগুলো জমি দখলে নিতে কেটে নিয়ে গেছে এলাকার ভূমিদস্যু চক্র হুসাইনা আক্তারের পারিবারিক সামাজিক বনায়ন ও পারিবারিক খতিয়ানভুক্ত জমির ফসল নষ্ট করেন অভিযোগকারীরা। অভিযুক্ত জায়গায় বর্গাচাষি নুরুল ইসলাম জানান, এই জায়গায় মালিক হুসাইনা আক্তারের দীর্ঘবছর ধরে বর্গা চাষী হিসেবে চাষ করে আসছি একপক্ষ এই জায়গায় নিয়ে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন ফারুখের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে মিথ্যা নিউজ করে যাচ্ছে, যা সম্পুর্ন মিথ্যাও বিভ্রান্তিকর বিষয়। তিনি কখনো এই জায়গায় নিয়ে কারু সাথে ঝগড়াবিবাদ করেন নাই।এই বনায়নের মূল মালিক বা পরিবারের পক্ষ থেকে তদারকি করের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম খলিল এর স্ত্রী হুচাইনা আক্তার। এই বিষয় ভুক্তভোগী পরিবারের বড় ছেলে মো. মহিউদ্দিন ফারুক জানান, গত ১৪ বছর পূর্ব থেকে আমার মরহুম পিতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল সহ ১১ জন এর নামে সামাজিক বনায়নের উপকার ভোগীর কাগজ ও জমি হস্তান্তর করা হয়ে বন বিভাগ এর পক্ষ থেকে। সেই থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ সহ পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষন করে বাগানের অন্তবর্তী খালি জমিতে কৃষিজ ফসল ধান উৎপাদন করে আসতেছি। গত এক মাস ধরে একটি চক্র ছাত্র জনতার আন্দোলনকে প্রশ্ন বৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আমাদের এই বনায়নের গাছ কাটা ও ফসলী জমির ধান নষ্ট করে ও ভয় প্রদর্শনের মাধ্যমে এই বাগান দখলে নিতে মরিয়া হয়ে আছে । এরই দ্ধারা বাহিকতায় গত ১৩ আগষ্ট বনায়নের কৃষিজ ধানি ফসল নষ্ট করে এবং বনায়নের সাথে লাগুয়া খতিয়ান ভুক্ত ১০৪ কড়া জমিতেও ধান রোপনে বিভিন্ন ভাবে বাধাও হুমকি প্রদান করে মহড়া দিচ্ছে এবং জোরপূর্বক দখলে নিতে চাই, তার জন্য চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অফিসার ইনচার্জ,বরাবর দ্রুত আইনি সহায়তা চেয়ে আবেদন করা হয়। তাই প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি । স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত কয়েক জন’কে চিনি তারা হুসাইনা আক্তার পরিবার জায়গায় টি দখলে নিতে চাই। আমরা এলাকায় এঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার চাই। যে এমন ঘটনা এলাকায় আর না হয়। মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন ফারুখ’কে মিথ্যা মামলা ফাঁসানো জন্য এইসব মিথ্যা নাটক নিউজ করছে তা সঠিক নয়। তবে তাদের দু’পক্ষই’কে শান্তি প্রিয় এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানান তারা। অভিযুক্তদের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করিলে তাহার মুটোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর ফরিদ উদ্দিন জানান, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি তা তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।